সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের ডাঃ গিয়াস উদ্দিন আরিফ ওরফে সানামিয়াকে ইদানিং হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছেনা।
কিছু রোগী বর্তমানে পেরেশানীর শিকার হচ্ছে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের ডাঃ গিয়াস উদ্দিন সানা মিয়াকে না পেয়ে। বিশেষ প্রয়োজনে শরীরে আঘাতজনিত কারণে গত ৪/৫/৬ তারিখে ওই হাসপাতালে পাওয়া যায়নি (জুন-২০২২)। গত ৯জুন তারিখে কিডনীতে পাথরজনিত সার্জিকেলের প্রয়োজনে হাসপাতালে গেলে ওই ডাক্তারকে কলেজ হাসপাতালে পাওয়া যায়নি।
শুনা গেছে তিনি এদিন হাসপাতালে না থাকলেও কিশোরগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আবারও প্রয়েজনে একই রোগী সার্জিকেলের প্রয়োজনে ১২জুন রবিবার সকাল সাড়ে ১১ঘটিকায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে ওই ডাঃ সানা মিয়াকে পাওয়া যায়নি। তবে এ সার্জারী ডাঃ কিশোরগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছিল বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়। হাসপাতালে না পাওয়ায় অনুসন্ধান করে জানা গেছে যে, তিনি এখন হাসপাতালমুখী না হয়ে আাদালতমুখী হচ্ছেন।
তথ্যবিবরণীতে জানা যায় যে, গত ৮এপ্রিল তারিখে মৌসুমী আক্তার ওরফে মির্জা মাহবুবা বেগের পারিবারিক সিমানায় বেড়ে ওঠা একটি গাছকর্তন করা নিয়ে তর্কাতর্কি হলে ওই ডাঃ সানা মিয়া নিজ হাতে মির্জা মাহবুবা বেগ নামের আলোর মেলার বাসিন্দার এক নারীকে টেনে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গলাচেপে ধরে। তৎসঙ্গে গুপ্তি মার দেয় এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে(মামলার নথি অনুসারে)। এ প্রেক্ষিতে মৌসুমী আক্তার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডাঃ সানার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলাটি এখন পিবিআইএর তদন্তনাধীন আছে।
এই নারী হেনস্থার মামলার কাউন্টারে ডাঃ সানা মিয়া মৌসুমী আক্তারের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। উল্লেখ্য যে, উক্ত ৩ মামলাতেই জামিনে রয়েছে মৌসুমী। মৌসুমীকে হাজতে ঢুকাতে ডাঃ সানা মিয়া হাসপাতালের দায়িত্ব পালন না করে আদালত প্রাঙ্গনে সদা-সর্বদা বিচরণ করে ও নিজে উপস্থিত থেকে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । ডাঃ এমন কোনো তদবির বাদ রাখেনি যে সে করেনি। এ যেন “মশা মারতে কামান দাগানো।” কারণ ডাঃসানা এদেশের একজন প্রথমশ্রেণির নাগরিক। আর মৌসুমী হলো লেখাপড়া না জানা সাধারণ নাগরিক।
এমন অসহায় নারীর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়ায় লোকজন ডাঃ সানাকে এখন মামলাবাজ (সানা ডাঃ) বলে অভিহিত করছে। চারদিক নিন্দার ঝড় ওঠছে। ধিক্কার জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ডাঃ সানা দেশের শীর্ষ নাগরিক হয়ে একজন নারীর গায়ে কেমন করে হাত তুলতে পারে তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করছে সমাজের সুধীজনরা। তদুপরি এখন চালাচ্ছে একের পর এক মিথ্যা মামলা। ৩টি মামলাতে জামিন হয়েছে। আরও নতুন মামলা সাজানো প্রচেষ্টায় রয়েছে এ ডাক্তার। বিবেকবানরা বলছে অর্থের দাপটে ডাঃ সানা এমন কাজে সফল হলেও আল্লাহর গজবে ধ্বংস হবে সে। তাছাড়া ডাঃ সানাকে যথাসময়ে হাসপাতালে না পেয়ে কষ্টপাওয়া রোগীরা সানার প্রতি বদদোওয়া দিচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি করছি।